admin
- ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ / ২৩৪ Time View
Reading Time: 2 minutes
সাইফুল ইসলাম হিলি দিনাজপুর/মাহবুব খান নরসিংদী শিবপুর: :
বছর ঘুরে আসতে না আসতে আম গাছে বসন্ত বাতাসে দুলছে সোনালী আমের মুকুল। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে শীত বিদায়ের লগ্নে প্রকৃতি বদলে গেছে। প্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজে। সেই সাথে আমের সবুজ পাতার ফাঁকে সোনালী মুকুলের ছড়াছড়ি। দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলার চারপাশ জুড়েই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ। বাগান চাষিরা ব্যস্ত হয়ে উঠেছে গাছের পরিচর্যায়। হাকিমপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ঘুরে দেখা যায়, ঋতুরাজ বসন্ত ফাল্গুনের শুরুতেই পরিবর্তন শুরু হয়েছে প্রকৃতির। গাছের পুরনো পাতা ঝরে বের হচ্ছে নতুন পাতা। আর সেই পাতার ফাঁকে বেরিয়ে আসছে আম, লিচু, কাঁঠাল, সজনাসহ বিভিন্ন ফুলের মুকুল।
উপজেলার বোয়ালদাড় ইউনিয়নের বিশাপাড়া গ্রামের কাউসার রহমান ও জাকির হোসেন বলেন, আমার বেশ কয়েকটি জাতের আম গাছ আছে। কলম গাছও আছে। প্রতি বছর গাছগুলোতে প্রচুর আম ধরে। এবারেও আম গাছে পর্যাপ্ত মুকুল আসছে। আর কিছু দিন গেলে কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে আমের মুকুলে স্প্রে করবো। আবহাওয়া অনূকূল থাকলে প্রচুর আম পাবো বলে আশা করছি।
উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের ইটাই গ্রামের শাহাদত আলী ও ছানোয়ার হোসেন বলেন, আমি প্রায় দেড় বিঘা জমির উপর একটা আম বাগান করেছি। বাগানে ফজলি, হিমসাগর, ন্যাংড়া, নাগ ফজলিসহ কয়েক জাতের আমের গাছ আছে। বাগানের বয়স ৫ বছর, প্রতিটি গাছ কলম করা, তাই ছোট থেকে গাছে আম ধরেছে। আশা করছি আবহাওয়া ভাল থাকলে এবারও আমের ভাল ফলন পাবো।
হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা জানান, চলতি মৌসুমে এবার উপজেলায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার প্রায় বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে আমের গাছ রয়েছে। প্রায় গাছে আমের মুকুল আসছে। আমরা আম বাগান চাষিসহ বসত বাড়িতে থাকা আম গাছ মালিকদের বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছি। এছাড়াও গাছের যত্ন নেয়ার বিষয়ে পরামর্শ দিতে মাঠ পর্যায়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি।
শিবপুরে বসন্তের আগমণে ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে আমের মুকুল
মাহবুব খান (নরসিংদী) শিবপুর: নরসিংদীর শিবপুরে বসন্তের আগমণে ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে আমের মুকুল,শীতের শেষে বসন্তের শুরুতেই প্রকৃতি যেন সেজেছে তার অপরুপ সৌন্দর্যে। চারদিকে ফুলে ফুলে যেমন ভরে গেছে ঠিক তেমনি আমের মুকুল ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ। আম গাছের ছোট ছোট ডালের সবুজ পাতার মাঝে হলদেটে মুকুল ঝুরি যেন কনক প্রদীপ হয়ে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটাচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই মুকুল ঝুরিগুলো প্রস্ফুটিত হবে মুকুল মঞ্জরীতে। আম গাছগুলো সজ্জিত হবে সাদা, বেগুনি ও হলদেটে ফুলে ফুলে পুষ্পরানীর সাজে। গাছে গাছে মৌমাছির গুঞ্জন আর মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে প্রকৃতিতে সৃষ্টি হবে এক নতুন ছন্দের। কয়েক মাসের মধ্যেই পুষ্পরাণী আম গাছের ডালে ডালে ঝুলবে নানা জাতের, নানা বর্ণের আম। আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন উপজেলার বিভিন্ন আম বাগান মালিকরা। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলো। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে সফলতার স্বপ্ন। এই উপজেলায় বানিজ্যিকভাবে ৫টি বাগানে আমের আবাদ করা হয়।এরমধ্যে, বেলী গ্রুপের ৩টি বাগান রয়েছে।উপজেলার দড়িপুরায় ৫ একর, দেবালেরটেক ৫ একর,সৃষ্টিগড় ৬ একর,সাধারচরে ১৮ শতাংশ জমিতে আম চাষ করা হয়।বাগানগুলোতে বিভিন্ন জাতের আম গাছ রয়েছে,এগুলো হলো হাড়িভাঙ্গা, আমরূপালী, গোপালভোগ, ফজলি, আশ্বীনি, হিমসাগর ইত্যাদী। এছাড়া বাড়ির আঙ্গিনায়,রাস্তার পাশে,বাসার ছাদ ও নার্সারীসহ সর্বমোট ৩৩০ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ বিন সাদেক। তিনি আরো বলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ ৫টি বাগানে আমের ফলন ভালো হওয়ার লক্ষে খোঁজ-খবর নিয়ে যাচ্ছেন।